Advertisement

Main Ad

Novel|A tale of Two Cities|Charles Dickens | Bangla summary


 Novel|A tale of Two Cities|Charles Dickens | Bangla summary|Characters



A tale of Two Cities 

by Charles Dickens




Character Analysis:


Charles Darnay: এই উপন্যাসের নায়ক। Darnay জন্মসূত্রে একজন করাসী অভিজ্ঞাতা রনের পরিবারের নাম সেন্ট এভামোনডে। সে Aristocracy family তে জন্মগ্রহণ করার পরও তার মনে কোন নিষ্ঠুরতা ছিল না। সে সব সময় অসহায়দের কে ভালবাসতো। কিন্তু তার চাচা ছিল নিষ্ঠুর। Darnay তার চাচা Marquis Evrémonde কে ত্যাগ করে ইংল্যান্ডে চলে যান, সেখানে তিনি একজন গৃহশিক্ষক হিসাবে কাজ করেন।


Sydney Carton: সিডনি কারটন একজন আইনজীবী। তিনি এ্যালকোহলিক ছিলেন, নেশায় ডুবে থাকতেন। তার জীবনের কোনো উদ্দেশ্য ছিলোনা। Lucie Manette কে তিনি প্রচন্ড ভালোবাসতেন। ভালোবাসার জন্য তিনি তার নিজ জীবন উৎসর্গ করে দিতে প্রস্তুত ছিলেন। Sydney Carton দেখতে হুবহু Charles Darnay এর মত ছিলেন।


Lucie Manette: এই উপন্যাসের নায়িকা লুসি ম্যানেট। তিনি ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা এক তরুণ ফরাসি মহিলা। তার বাবা ড.ম্যানেট। লুসি টেলসন ব্যাংকের ওয়ার্ড হিসাবে বেড়ে ওঠেন। তার ভালবাসার রূপান্তর করার ক্ষমতা আছে যা তার বাবার জীবনে

পরিবর্তন এনেছিল। তার ভালোবাসার জন্য সিডনি, টন এর মধ্যেও পরিবর্তন এসেছিল। লুসি বিয়ে করেছিল এই উপন্যাসের নায়ক, Charles Darnay কে।

Doctor Alexandre Manette; তিনি ফ্রান্সের একজন ডাক্তার ছিলেন। তিনি লুসির বাবা। ড. ম্যানেটকে ১৮ বছর বাস্তিল দূর্গে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। মুক্তির পর তিনি তার মেয়ে লুসির পরিচর্যায় নতুন জীবন ফিরে পান।


Ernest Defarge: এক মদ শপের মালিক এবং বিপ্লবী মনসিয়র ডিফার্ড আগে ডাক্তার ম্যানেটের চাকর হিসাবে কাজ করত। ডিফার্জ  এক জন বুদ্ধিমান এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিপ্লবী নেতা ছিল। ড.ম্যানেটের বাস্তিল দুর্গ থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি তাঁকে আশ্রয় দেয়।


Madame Therese Defarge: ম্যাডাম ডিফার্জ, মনসিয়র ডিফার্জ এর স্ত্রী ছিল, তিনি ছিলেন নিষ্ঠুর বিপ্লবী যার অভিজাতদের প্রতি তীব্র ঘ্রীনা ছিল। তিনি নিরলস ভাবে রক্ত-তৃষ্ণার্ত প্রমাণিত, এবং তার প্রতিশোধ নেওয়ার লালসা ছিল।

 Jarvis Lorry: জার্ভিস লরি একজন শ্রদ্ধের প্রবীণ ভদ্রলোক, যিনি টেলসন ব্যাঙ্কের একজন কেরানী। তিনি ডাক্তার ম্যানেটের পুরানো বন্ধু।


Jerry Cruncher : জেরি হলেন টেলসনস ব্যাঙ্কের পোর্টার এবং জারভিস লরির দেহরক্ষী। তিনি কবর ডাকাত হিসাবে অর্থোপার্জন করেন। প্রার্থনা করার জন্য তিনি তার স্ত্রীকে মারধর করেন।


Miss Pross: মিস প্রুস একজন বলিষ্ঠ ইংরেজ মহিলা যিনি ছিলেন লুসি ম্যানেটের নার্স এবং সঙ্গী। তিনি লুসির একনিষ্ঠ সেবক এবংরক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন।

C.J. Stryver: একজন উচ্চাকাঙ্খী আইনজীবী। স্ট্রাইভার ইংল্যান্ডে ডারনয়ের প্রতিরক্ষা অ্যাটর্নি ছিলেন। তিনি লুসিকে বিবাহের জন্য আগ্রহী।

Marquis Evremonde: মারকুইস ইভ্রমনোডে একজন অহংকারী এবং নিষ্ঠুর ফরাসি অভিজাত যে নিম্ন শ্রেণীর প্রতি সম্মান দেখায় না। তিনি Charles Darnay এর চাচা।

Roger Cly:একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর।

John Barsad: একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর।

Gabelle: একজন ফরাসী পোস্টমাস্টার। বিপ্লবীরা তাকে বন্দী করে।



Summary:

সময়টি ১৭৭৫ সাল, ইংল্যান্ডে তখন রাজা জর্জ ৩য় এবং ফ্রান্সে রাজা লুই ১৬তম এর শাসনকাল। এসময় ব্রিটেন ও প্যারিসের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। ঘটনার শুরুতে আমরা দেখতে পাই টেলসন ব্যাঙ্কের পক্ষে কাজ করা একজন লোক নাম জেরি ক্রাঞ্চার, জারভিস লরিকে একটি জরুরী বার্তা দেয়ার জন্যে ডোভার মেইল কোচটি থামায়। সেই বার্তায় লরিকে জানানো হল সে যেনো ডোভারে একজন যুবতী মেয়ের জন্যে অপেক্ষা করে। সে তখন তাকে একটি রহস্যময় জবাব দেয়, যাতে বলা হয়েছে, “জীবন ফিরে পেয়েছে”


ডোভারে লরি একজন যুবতী মেয়ের (লুসি ম্যানেট) সাথে দেখা করে। যুবতী মেয়েটির পিতা ছিলেন একজন ডাক্তার এবং মেয়েটি নিজেকে পিতৃহারা মনে করত। সে তাকে খবর দেয় যে তার পিতাকে ফ্রান্সে পাওয়া গিয়েছে। পরি তখন তাকে ফ্রান্সের প্রত্যন্ত অঞ্চল এনটোইনে বিপ্লবী আর্নেস্ট দেফার্ড ও তার স্ত্রীর কাছে নিয়ে যায়। যারা তার পিতাকে তাদের সড়াইখানার চিলেকোঠায় লুকিয়ে রেখেছিল। দীর্ঘ ১৮ বছর বাস্তিল দূর্গে নিজ পেশা বাদ দিয়ে জুতা সেলাই করেছেন। ফলে তার পুর্বের সব কিছু ভুলে গিয়েছেন। লরি তাকে জানায় একমাত্র লুসির ভালোবাসা ও সেবাযত্নই পারে ড. আলেক্সান্দ্র ম্যানেটকে তার পূর্বের স্মৃতিশক্তিওতে ফিরিয়ে আনতে।

এবার আমরা একটু এগিয়ে ১৭৮০ সালের ইংল্যান্ডে চলে আসি। চার্লস ডারনে নামক একজন ফরাসী যুবকের উপর ইংরেজ রাজার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রধান সাক্ষী হল তার বন্ধু জন বারসাদ ও রজার ক্লাই নামক দুইজন গুপ্তচর।

একজন বিখ্যাত আইনজীবী স্ট্রাইভার তার পক্ষে মামলা লড়ছিলেন। তবে তার অকর্মন্য সহকারী সিডনী কাটনের কারনেই সে মামলা থেকে খালাস পেয়ে যায়। সে কোটকে যুক্তি দেখায় সে আর চার্লস দেখতে একই রকম। ফলে মামলা দুর্বল হয়ে যায়। লুসি ম্যানেট ও তার পিতা ডা. ম্যানেট কোর্টে সিডনী কার্টুনের মামলা লড়ে যাওয়া পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। সে রাতেই কার্টন তাদের মক্কেল চার্লস ডারনেকে একটি ঝরনার পাশে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে লুসির মত মেয়ের সহানুভূতি পেলে কেমন লাগবে। 

এদিকে ফ্রান্সে মারকুইস এভরেমন্ড গিয়েছিলেন রাজার সাথে দেখা করতে। রাজা সময় না দেয়ায় রাগ করে বেরিয়ে যান মারকুইস এভরেমদে এবং রাস্তায় তার ঘোড়ার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে একটি শিশু নিহত হয়। এতে তার মাঝে একটুও অনুশোচনা কাজ করেনি বরং সে তার গাড়ি থামিয়ে তাদের নিহত শিশুর পিতার দিকে একটা সোনার মুদ্রা ছুড়ে দেয়। সেখানেই তার সাথে দেখা হয় বিপ্লবী মসিয়ে দেফার্ড এর সাথে। তার কথা শুনে মজা পেয়ে, তার দিকেও সে একটা মুদ্রা ছুঁড়ে দেয়। গাড়ি ছেড়ে দিলে সে তার মুদ্রাটি জানালা দিয়ে ছুড়ে মারে এবং উধাও হয়ে যায়। বাড়ি ফেরার পথে একজন শ্রমিক তার ঘোড়ার গাড়ির দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে জানায়, ঘোড়ার গাড়ির গায়ে একজন ভূতের মত লোক ঝুলে ছিল। যাই হোক তাদেরকে সাবধান হতে বলে বাড়ি ফিরে আসে মার্কুইস এভরেমন্ড।

বাড়ি ফিরে তার ভাতিজা চার্লস ডারনে ওরফে চার্লস এভরেমন্ড এর অপেক্ষায় থাকেন। ডিনারের সময় চার্লসের আগমন ঘটে। সে তাকে লন্ডন থেকে ফিরতে দেরির কারন জানতে চায়। সে তার উপর দিয়ে যাওয়া বিপদের কথা জানায়। তাকে আরো বলে, এভরেমন্ড পরিবারের। উচিত তাদের গরীব প্রজাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। চার্লস যখন জমিদারীর মালিক হবে সে তাদের সকল সম্পদ প্রজাদের মাঝে দান করে দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। দুজনের মাঝে নানা তিক্ত কথার মাধ্যমে তাদের খাওয়া শেষ হয়। সকালে মারকুইস এভরেমন্ড এর মৃতদেহ পাওয়া যায়। বুকে গেথে থাকা ছোরায় লিখা ছিল, একে তাড়াতাড়ি কবরে পাঠিয়ে দাও- জ্যাক। বছরখানেক পরের কথা। চার্লস ডা. ম্যানেটের সাথে দেখা করে, লুসির প্রতি তার ভালবাসার কথা জানায়। ডা. ম্যানেট তার মেয়ের সুখের জন্যে তার পরিচয় জানতে চায়নি। বিয়ের দিন সকালে সে তার আসল পরিচয় জানালে ডা. ম্যানেটের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। একবার ভেবেছিলেন সে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু তার মেয়ের কথা চিন্তা করে, মনের দূঃখ সয়ে যান। একই সময়ে (বিয়ের আগে) সিডনী কার্লটনও লুসির সাথে দেখা করতে আসে। তার ভালবাসার কথা জানালে, লুসি তাকে সুস্থ ও সৎ জীবন যাপনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। লুসির সহানুভূতিপূর্ণ কথা শুনে সে কেঁদে ফেলে। এক পর্যায়ে লুসিও কেঁদে ফেল। সে লুসিকে জানায় যেহেতু তার মনে সিডনীর জন্যে সহানুভূতি ও ভালোবাসা আছে, সে একদিন না একদিন তার প্রতিদান দিবেই। রজার ক্লাই নামের যে গুপ্তচর চার্লসের বিরুদ্ধে সাক্ষ দিয়েছিল, জানাজার মিছিলে জেরি ক্রাঞ্চার ঢুকে যায় এবং তার লাশ চুরি করে। অন্যদিকে জন বারসাদকে এনটোইনে দেফার্জের পানশালায় দেখা যায়। সে আসলে গোপনে তাদের উপর গোয়েন্দাগিরির কাজ করছিল। আর ডা. ম্যানেট এর আবার স্মৃতিবৈকল্য হয়। নয় দিন পর তিনি তার স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসেন। ডারনের সাথে সিডনী কারটন দেখা করে পুনরায় তার বন্ধু হতে চায়। ডারনে তার কথা শুনে অবাক হয়। ১৭৮৯ সাল। প্যারিসে কৃষক ও শ্রমিকেরা বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে ও ফরাসি বিপ্লব শুরু হয়। তাঁরা অভিজাতদের যেখানে পাচ্ছিল ধরে ধরে রাস্তায় নিয়ে হত্যা করছিল। এভরেমন্ড এস্টেটে গ্যাবেল নামে একজন কমচারী ছিল। তাকে জেলে ঢোকানো হল। তিন বছর পরে, তাকে উদ্ধারের জন্য, সে চার্লস ডারনেকে চিঠি লিখে। নিজের লোকের এমন ভ । বিপদ দেখে সে সাথে সাথেই ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। 

ফ্রান্সে পৌঁছানোর পর তাকে একজন দেশত্যাগী হিসেবে বিপ্লবীরা গ্রেফতার করে। সেখানে তাকে এক বছর তিন মাস কারাবরন করার পর তার বিচারকাজ শুরু হয়। তাকে উদ্ধারের জন্যে ডা. ম্যানেট ও তার মেয়ে লুসি সেখানে চলে যায়। ডা. ম্যানেট বিপ্লবীদের মাঝে তার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে চার্লস ডারনেকে কারামুক্ত করার চেষ্টা করেন। ডারনে খালাস পায় ঠিকই কিন্তু সে রাতেই তাকে অন্য একটি মামলায় আবার গ্রেফতার হতে হয়। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে দেফার্জ ও তার প্রতিশোধপরায়ণ স্ত্রী। সিডনী কারটন প্যারিসে আসেন এবং চার্লসকে মুক্ত করার জন্যে জন বারসাে র সাহায্য নেন। জন বারসাডের নতুন একটা পরিচয় আবিষ্কার হয়। সে হল লুসির মেইড মিস প্রসের হারিয়ে যাওয়া ভাই।

ডারনের বিচারকার্যের । দেফার্জ আদালতে একটি চিঠি উপস্থাপন করে। এই চিঠিটি জনাব ম্যানেটের পুরনো জেলের কামরায় পাওয়া গিয়েছিল। এই চিঠির মাধ্যমে জানা যায় কেন তাকে আঠারো বছর জেলে থাকতে হয়েছিল। চিঠি থেকে জানা যায় এভরেমন্ডরা দুই ভাই তার সাথে দেখা করেছিল একটি ধর্ষিতা মেয়েকে চিকিৎসা করানোর জন্যে। তাদের দুই ভাইয়ের একজন তাকে ধর্ষণ করে ও গায়ে ধারালো বস্তু দিয়ে আঘাত করে। তারপর ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা ডা. ম্যানেটকে ষড়যন্ত্র করে জেলেখানায় পাঠায়। এই ঘটনা শুনে বিচারকরা ডারনেকে চব্বিশ ঘন্টার মাঝে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন, কারন অপরাধীরা ডারনের পূর্বপুরুষ। সেদিন রাতে সিডনী কার্টন মাদাম দেফার্জের পানশালায় যায় ও তার ষড়যন্ত্রের কথা গোপনে শুনে ফেলে। আসলে মাদাম দেফার্জ পিতা মাতা এভরেমন্ডদের হাতে খুন হয়েছিলেন। প্রতিশোধপরায়ণতা এমন নিচু পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, সে লুসি ও তার নিষ্পাপ কন্যাকেও কিভাবে ফার্সি দেয়া যায়, সেই ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। কাটন এই অবস্থা দেখে ডা. ম্যানেট ও তার কন্যাকে তড়িঘড়ি করে লন্ডনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সে আর জন বারসাড় রাতে ডারনের সাথে দেখা করে। পোষাক পরিবর্তনের ছুতোয় তাকে অজ্ঞান করে জন বারসাড়ের মাধ্যমে তাকে বাহিরে 

পাঠিয়ে দেয় এবং তার জায়গায় সে অবস্থান নেয় ও গিলোটিনের জন্যে সে অপেক্ষা করে। তারপর প্যারিসে অদূরে অপেক্ষারত লুসি ও ডা. ম্যানেট এর সাথে তাকে লন্ডন পাঠিয়ে দেয়। এদিকে মাদাম দেফার্জ লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্যারিসে তাদের বাসায় আসে। সেখানে সে মিস প্রসকে পায়৷ মিস প্রসের সাথে তার ধস্তাধস্তি হয়। মাদাম দেফার্ড তার নিজের গুলিতে নিহত হয়। জীবনের যে আসলেই মূল্য রয়েছে এটা জেনেই পরের দিন সকালে গিলোটিনের মাধ্যমেই মৃত্যু হয় সিডনী কারটনের।




সমাপ্তি






Post a Comment

0 Comments